হেফাজতকে তাদের লোক প্রশ্নের সম্মুখিন করেছে

লিখেছেন লিখেছেন ইসহাক মাসুদ ১৫ মে, ২০১৩, ০১:১৭:৪৩ দুপুর

আমি মাদ্রাসায় পড়া-লেখা করছিলাম তখন থেকে হযরত আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী ও আল্লামা শফি সাহেবদ্বয়কে খুব কাছ থেকে জানি এবং তাঁহাদের সহচর্যে ছিলাম। এই দুটি মানুষকে সব সময় হক্বের উপর ইস্পাত কঠিন ব্যক্তিত্ব হিসাবে জানি। তাঁরা কোখনো বাতিল ও জাগতিক কোন শক্তির কাছে মাথা নত করতে দেখিনি। তাঁহাদের নেতৃত্বে হেফাজত ইসলামের আভির্ভাব ও উত্থান দেখে মনে মনে যেমন ফুলকিত হয়েছি তেমন, সক্রিয় ভাবে অনেককে উদ্বুদ্ধ করেছে। আমার এলাকার অনেক বড় বড় আওয়ামী নেতাদের সাথে এনিয়ে অনেক বাককিতন্ডা হয়েছে। সবাইকে বুঝাইকে সক্ষম হয়েছি যে, এই আন্দোলন নিচক ঈমানী চেতনার ফুল। সরকারের হীন ষড়যন্ত্রের মাঝেও ৬ এপ্রিল লক্ষ লক্ষ ঈমানদার মহা সমাবেশ সেটাই প্রমান করেছে। পরে হেফাজতের বিভাগীয় শানে রেসালত মহা সম্মেলনে কতিপয় বক্তাদের বক্তব্য শুনে আমরা একটু আশাহত হয়েছি।অনেককে বলেছে, হেফাজতের ভবিষ্যত ভাল হবে না। আমরা তাদের বক্তব্যে শুনেছি, ৫ই মে সরকারের শেষ দিন,আমাদের দাবী না মানলে শেখ হাসিনার সরকারকে হটিয়ে আল্লামা শফির নেতৃত্বে নতুন সরকার গঠন করা হবে, ৫ তারিখে দেশে কি হবে আমরা তা জানি না। সরকারের শেষ দিন ও আল্লামা শফির নেতৃত্বে নতুন সরকার গঠন করা হবে। এসব রাজনীতিক বক্তব্য দিয়ে হেফাজতকে বির্তকিত করেছে। সরকার পতনের কাজ রাজনৈতিকদের হেফাজতের না। অরাজনৈকিত আন্দোলনে অরাজনৈতিক ভাষায় বক্তব্য দিয়ে হেফাজতকে দেশে দাবী আদায়ের জন্য শক্তিশালী সংগঠন হিসাবে প্রতিষ্ঠা করতে পারতো। আর রাজনীতির ভাষায় বক্তব্য দিতে হলে রাজনীতির উপর প্রজ্ঞা থাকা জরুরী। যেটা উক্ত মহোদয়গনের কারো ছিল না। যাদের ছিল তারা হেফাজতকে ভায়াষ্ট করেছে। যেটা খুবই দুঃখজনক ও হতাশাবাঞ্চক। তারা যদি ১৩ দফা দাবী আদায়ের জন্য বলত, আমাদের দাবী না মানলে দেশ অচল করে দেয়া হবে, মানববদ্ধন করতো ইত্যাদি ইত্যাদি বলে বক্তব্য দিলে বির্তক সৃষ্টি হতো না। কিন্তু আমি নাম বলছিনা, কিছু কুচক্রি মহল অতি উৎসাহি ব্যক্তি বিএনপি এজেন্ডা বস্তাবায়নের লক্ষে হেফাজতকে শাপলা চত্তরে বসিয়ে বিচারের কাঠগড়া দাঁড় করিয়েছে।

বিষয়: বিবিধ

১০৩৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File